Course VI - 4th Semester
বিবেকানন্দের শিক্ষা চিন্তার সংক্ষিপ্তসার :- 
বিবেকানন্দের উল্লেখযোগ্য শিক্ষা চিন্তা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা :-
দর্শন :-
বেদান্ত দর্শন, ও অদ্বৈতবাদ তার দর্শনের ভিত্তি। জীব সেবাই ঈশ্বরের সেবা এই মতেই তিনি বিশ্বাসী ছিলেন
শিক্ষা দর্শন :-
জ্ঞান মানুষের মধ্যেই নিহিত আছে।  জ্ঞান বাইরের বিষয় নয়। মানুষের মধ্যেকার সুপ্ত সম্ভাবনাকে জাগিয়ে তোলাই শিক্ষার অন্যতম লক্ষ্য ।
শিক্ষার লক্ষ্য :-
তার মতে ,শিক্ষার প্রধান লক্ষ্য হল চরিত্র বিকাশ। তিনি যুব সমাজকে উপদেশ দিয়েছেন , ধর্ম ধর্ম না করে ফুটবল খেলতে অর্থাৎ এক সুস্থ শরীর সুস্থ দেহ ও সবল মনই হল চরিত্র গঠনের আধার। আধার তৈরি হলে তবেই ধর্মবোধ জাগ্রত হওয়া সম্ভব।
শিক্ষক ও শিক্ষা প্রণালী :-
এই বিষয়ে স্বামী বিবেকানন্দের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল শিক্ষক নিজে চরিত্রবান না হলে, তিনি অন্যের চরিত্র গঠন করতে পারেন না। কাজেই শিক্ষক হবেন  চরিত্রবান সৎ ও হৃদয়বান ।
ভাষা ও শিক্ষার মাধ্যম :-
সংস্কৃত ভাষা শিক্ষার উপর তিনি বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে, গণ শিক্ষা ও প্রাথমিক শিক্ষায় মাতৃভাষা সবচেয়ে উপযুক্ত ।
পাঠ্যক্রম :-
স্বামী বিবেকানন্দ কখনোই পাঠক্রমের অন্তর্গত বিষয় সমূহের তালিকা প্রস্তুত করেননি। তবে বিজ্ঞান গণিত যান্ত্রিক কলা, কৌশল ও প্রযুক্তি, ধর্ম দর্শন ,সাহিত্য শারীর শিক্ষা ইত্যাদি তিনি বিভিন্ন বক্তৃতার মাধ্যমে ইঙ্গিত দিয়েছেন ।
শিক্ষার্থীদের চরিত্র:-
শিক্ষার্থীদের চরিত্র গঠনের উপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে তিনি প্রাথমিক আশ্চর্যজনক জীবনের অনুকরণে আবাসিক বিদ্যালয় এর কথা বলেছেন। ব্রহ্মচর্য ও ধ্যান একাগ্রতা ও শ্রদ্ধা এইগুলি শিখনের পন্থা ।
জনশিক্ষা :-
স্বামী বিবেকানন্দ অত্যন্ত জোরালো ভাষাই সমাজের অবহেলিত তথাকথিত নিম্ন জনগোষ্ঠীর শিক্ষার জন্য বারবার নানাভাবে বলেছেন।

Previous Post Next Post